আদালতের রায়ের পরও আবারো মিথ্যা মামলার হুমকি » Itihas24.com
ঈশ্বরদী১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর

আদালতের রায়ের পরও আবারো মিথ্যা মামলার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১২, ২০২৪ ১২:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাবনার ঈশ্বরদীতে আদালত কর্তৃক রায় প্রদানের পরও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

১১ অক্টোবর সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন পৌর শহরের নূর মহল্লার মৃত আব্দুল ওহাব মল্লিকের ছেলে আশিউর মল্লিক মিন্টু। নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর  জমি সংক্রান্ত এ মামলা বিচারাধীন থাকার পর  আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। কিন্তু রায়কে অমান্য করে নানানভাবে হুমকি ধামকি ও আবারো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন নূরমহল্লার জাকিরুল ইসলাম গং।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈশ্বরদীর পাতিলাখালী মৌজার নূর মহল্লা এলাকার ভূমির মূল মালিক মোঃ হানিফ খান পিতা রেজা খান ঈশ্বরদী নতুন বাজার ঈশ্বরদী পাবনা এস এ খতিয়ান ৩৯২ এস এ দাগ ১২৮০ পরিমাণ শতাংশ। এই ভূমির আট শতাংশের মধ্যে প্রথম ক্রেতা মো মকসেদ আলী খান পিতা মৃত আব্দুর রশিদ খান সাং সাড়াগোপালপুর ঈশ্বরদী পাবনা ১৯৬৭ সালে ৩৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যাহার বিক্রয় কবলা দলিল নাম্বার ৩৭১১, রেজিস্ট্রি তারিখ ০৭-০৩-১৯৬৭ সন।
এই জমির প্রথম ক্রেতা মোঃ মোকসেদ আলী খান ১৯৭০ সালে দ্বিতীয় ক্রেতা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান পিতামৃত নাজিম উদ্দিন সাং হাসিমপুর সুজানগর পাবনা এর নিকট ১৯৭০ সালে ৩৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। যাহার বিক্রয় কবলা দলিল নাম্বার ৫২৮১ তারিখ ০৯-০৩-১৯৭০ সাল।
পরবর্তীতে এ জমির দ্বিতীয় ক্রেতা মোঃ ফজলুর রহমান ১৯৮১ সালে তৃতীয় ক্রেতা মোঃ আব্দুল ওহাব মল্লিক পিতা মৃত মোবারক আলী মল্লিক ঈশ্বরদী পাবনা এর নিকট ১৯৮১ সালে ৩৫০ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। যাহার বিক্রয় তবলা দলিল নাম্বার ৩১৭৭ রেজিস্ট্রি তারিখ ১২-০৬-১৯৮১ সাল। আর এস খতিয়ান ৩১০ ও আর এস দাগ ৩৫৯৯। এই দাগে আমরা ১৯৮১ সালে জমি ক্রয় করিয়া হারিজ খাজনা সম্পন্ন করি।
দীর্ঘ ২২ বছর এই জমির বিরুদ্ধে নিজামুদ্দিনের ছেলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমান্ডার জাকিরুল ইসলাম প্রথম মামলা করেন যাহার মোকদ্দমা যাহার নম্বর ২২৩/২০০২ দ্বিতীয় মামলা করেন যার মোকদ্দমা নং এলএসটি ২৪৭/১২, তারিখ ২৪-০১-২০১২ ইং। এই মামলা থেকে দীর্ঘ ২২ বছর পর ২৩-০৯-২০২৪ তারিখে আমাদের পক্ষে রায় পায় এবং মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী কমান্ডার মোঃ জাকিরুল ইসলাম এর ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনকে ব্যবহার করে এই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে হয়রানি সহ মামলা মোকদ্দমা করেন আমাদের অকথ্য বাংলা ইংরেজিতে গালিগালাজ করেন। দেখিয়ে তার একক ক্ষমতা বলে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দিবেন বলেন। অবস্থায় আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইদের কাছে সহযোগিতার জন্য আমি শরণাপন্ন হয়েছি। আপনারা সুস্থ তদন্ত করলেই সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
তবে নৌবাহিনীর কমান্ডার জাকিরুল ইসলাম জমি সংক্রান্ত কোন বিষয়ে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন তার ছোট বোন নাজমুন্নাহার। তিনি মুঠোফোনে জানান, আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন আমার বাবা নিজাম উদ্দিন। তাঁর মৃত্যুর পর আমাদের পরিবারের লোকজন এ মামলা পরিচালনা করছেন। আদালত যে রায় দিয়েছেন আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছি। আপিলে যে রায় আসবে আমরা তা মেনে নিবো।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads