ঈশ্বরদীতে শিশু শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেনকে (৯) যৌনকামনা চরিতার্থে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন অভিযুক্ত মোঃ আসিফ। শনিবার দুপুরে মোঃ আসিফ হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে ঈশ্বরদী থানায় প্রেসবিফ্রিয়েং এ কথা বলেন ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী। তিনি জানান আসামী মোঃ আসিফ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
লৌহহর্ষক ঘটনার বণর্ণা দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার মানিককৌড় (পাকুড়িয়া) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আসামী মোঃ আসিফ মাদকাসক্ত ও বিকৃত যৌন মানসিকতার অপরাধী। শুক্রবার বিকালে ইয়াবা সেবনের জন্য পরিত্যক্ত গোডাউনে ভেতরে যায়। সেখানে এক বন্ধুর সঙ্গে খেলা করছিল শিশু জিহাদ। ইয়াবা সেবন থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎ তাদের সামনাসামনি দেখা হওয়ায় শিশু জিহাদ ভয়ে থমকে যায়। আসামী আসিফ তখন জিহাদকে বলে, ‘ভয় পাচ্ছো কেন? এদিকে এসো’ । তখন জিহাদ ভাঙ্গা বিল্ডিংয়ের মধ্যে দক্ষিণ পাশের রুমে গেলে আসিফ বিকৃত যৌনকামনা চরিতার্থ করার মানসে জিহাদকে জাপটে ধরে আর তাকে বিবস্ত্র করে। তখন জিহাদ প্রচন্ড জোরাজোরি করে আর চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন আসিফ জিহাদের গলা চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জিহাদ শ্বাসরোধ মারা যায়। শিশু জিহাদ মারা গেছে বুঝতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে জিহাদেও প্যান্ট ও সান্ডেল জানাল দিয়ে বাইরে ফেলে দেয় আর জিহাদের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পাশের রুমে পড়ে থাকা পুরাতন ছেঁড়া প্লাষ্টিকের পাটি এনে মুড়িয়ে বিল্ডিংয়ের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে রাখে।
প্রসঙ্গতঃ ৫ জুলাই বিকালে মুনসিদপুর গ্রামের প্রবাসী হাসেম আলীর ছেলে জিহাদ হোসেন (৯) মুনসিদপুর তেঁতুলতলা সিএন্ডবির পরিত্যক্ত গোডাউন এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। শনিবার (৬ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে গোডাউনের পাশের জঙ্গল থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
