ঘর পেয়ে জীবনমান বদলে গেছে মানুষের: প্রধানমন্ত্রী » Itihas24.com
ঈশ্বরদী৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘর পেয়ে জীবনমান বদলে গেছে মানুষের: প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক
জুন ১১, ২০২৪ ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিসহ ঘর পাওয়া মানুষদের জীবনমান বদলে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিসহ ঘর করে দিচ্ছি৷ এরই মধ্যে যাদের ঘর দেওয়া হয়েছে তাদের জীবনমান বদলে গেছে। তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সারাদেশে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনি দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। আমি সে কাজটি করে যাচ্ছি, সেটিই আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি। এজন্যই আমাদের এ প্রচেষ্টা। বঙ্গবন্ধুর মতো আজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে ও তাদের সেবা করতে চাই। দেশের মানুষের সেবক হিসেবেই বাবার মতো সেবা করে যাবো। এ দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জীবন পাবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
এসময় আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে যারা ঘর পেয়েছেন এটি তাদের নিজেদের সম্পত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে ঘর পাচ্ছেন এটা আপনাদের নিজের সম্পত্তি, এটার যত্ন নেওয়া আপনাদের দায়িত্ব। এসময় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিত্যব্যয়ী হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝড়ে কোথায় ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে সে বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়েছি, তথ্য সংগ্রহ করেছি। তাদের ঘর করে দেবো। আর ক্ষতিগ্রস্তদের উপকরণ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আপনাদের (ক্ষতিগ্রস্তদের) চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেকে যেন ঘর করতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমি করে দেবো। প্রত্যেক এলাকা থেকে তথ্য নিয়েছি।

জাতির পিতার স্বপ্নপূরণ করাই নিজের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি গ্রামকে আমরা নাগরিক সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবো। সেই নাগরিক সুবিধা আমরা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। পাশাপাশি রাস্তাঘাট উন্নয়ন, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করছি। যার সুফল মানুষ ভোগ করছে।

এসময় চিকিৎসাসেবা, শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার কমানোসহ তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন গণমুখী পদক্ষেপ ও অর্জন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোথাও পিছিয়ে থাকবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো কথা দিয়েছিলাম, গড়েছি। এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাও পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে পথচলা শুরু হবে। সেজন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।

কোথাও যেন অনাবাদি জমি না থাকে, সেজন্য দেশের মানুষের প্রতি তার অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারও কাছে ভিক্ষা করে চলতে চাই না, হাত পেতে চলতে চাই না। যতটুকু সম্পদ তা কাজে লাগিয়ে মাথা উঁচু করে চলবো। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা দরকার।

আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads